বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং শহীদ জিয়া

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১

বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং শহীদ জিয়া

জিয়া শুধুমাত্র একটি নাম নয়, বাংলাদেশে রাজনীতির উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের নাম জিয়া।জাতীয় ইতিহাসের ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় স্বার্থেও টানেই তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হয়েছে। তাঁকে হতে হয়েছে ডেপুটি চীফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর, চীফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।জিয়াউর রহমান যখন পঁচাত্তরের শেষপ্রান্তে ক্ষমতাসীন হলেন তখনকার আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার দিকে তাকালে গণতন্ত্রেও শুভ আর্শীবাদ মাথায় নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ তার জয়যাত্রা শুরু করেছিল, সে গণতন্ত্র রাজনৈতিক সমাজ থেকে নির্ভাসিত।একদলীয় বাকশালের তান্ডবে বহুদলীয় ব্যবস্থা ।আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে পড়ে নি:সঙ্গ, বন্ধুবিহীন, একঘরে। এমনি করুণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন জিয়া। নিছক রাজনৈতিক নেতৃত্বেও ব্যর্থতার জন্য সৃষ্ট নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূর্ণ করেন।জিয়ার ক্ষমতাসীন হবার বছর দুই পরের দৃশ্য যে কারো চোখে পড়বে। রাষ্ট্রীয় কতৃত্ব যে জনগণের পবিত্র আমানত এবং তার প্রয়োগ যে জনকল্যাণে হওয়া উচিত, দলীয় স্বার্থে নয়, তার দৃষ্টান্ত চোখে পড়বে।বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রেও ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বহুদলীয় কাঠামোয় জনসমর্থন নিশ্চিত করার বিভিন্ন দল কার্যরত রয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুষ্ঠু মাধ্যম হিেিসবে দলকে ব্যবহার কওে নির্বাচন প্রতিষ্ঠানকে পুন:প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়। গণতন্ত্র যে আইনের শাসন এবং তার পূর্বশর্ত যে আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন তার প্রতিফলন দেখা যায় সমাজের সর্বত্র জিয়ার নিকট গণতন্ত্র শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থাই ছিল না, গণতন্ত্রকে তিনি দেখেছেন এক জীবন ব্যবস্থারুপে। শিল্পকলা থেকে শিশু একাডেমী, শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিএনসিসি, রাজনৈতিক দল থেকে আঞ্চলিক সংস্থা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, ক্রীড়ানুষ্ঠান থেকে সংস্কৃতি চর্চা, স্থানীয় সরকার থেকে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের স্বাধীনতা-সকল ক্ষেত্রেই ছিল জিয়ার অবাধ বিচরণ। আজকের বাংলাদেশের চার দেয়ালের যেদিকেই তাকাই না কেন সব দিকেই রয়েছে জিয়ার বৃহৎ প্রতিকৃতি, জনগণের মনের মণিকোঠায়। অনেক কাজ তিনি সম্পাদন করতে পারেননি বটে,কিন্তু সূচনালগ্নেও তা গৌরবজনক।ঘাতকের নির্মম আঘাতে তাঁকে সওে যেতে হয়েছে অকালে। সওে যেতে হয়েছে তার আপনজনদেও নিকট থেকে। তিনি কিন্তু বেঁচে রয়েছেন তাঁর কর্মেও মাধ্যমে। সৌকর্যেও সৌরভে। গণতন্ত্রেও দিশারীরুপে বাংলাদেশের মানুষের মনের মণিকোঠায় পরম গৌরবময় জাতীয় সম্পদরুপে।
মো মনির হোসেন
প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা
monirece.siu@gmail.com

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ