মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির আকুতি জানালেন কাহির মিয়া

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২১

মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির আকুতি জানালেন কাহির মিয়া

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম অন্তর্ভূক্তির আকুতি জানালেন মো. কাহির মিয়া। ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকলীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে আমরা কয়েক জন বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নিয়ে দেশ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তৎকালীন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ১১নং তেতলী ইউনিয়নে পাকবাহিনীদের পরাস্ত করেছিলাম।’ এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছেন মরহুম নছিম আলীর পুত্র মো. কাহির মিয়া।

তিনি জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারি তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১১নং তেতলি ইউনিয়ন প্রশাসনিক পরিষদের (বর্তমানে ৩নং তেতলী ইউনিয়ন পরিষদ) চেয়ারম্যান মো. আবরু মিয়ার কারছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেই। তিনি জানান, ১৯৭৭ সালে প্রবাসী পাড়ি জমান। সেখানে দীর্ঘ বছর থাকাকালীন শেষে দেশে ফিরে এলে পারিবারিক, বিভিন্ন সময়ে শারীরিক অসুস্থা ও অবগত না থাকার কারনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যাচাই-বাছাইয়ের চলাকালীন সময়ে আমার নামটি অন্তর্ভূক্ত করা যায়নি। তাই জীবনে আমার একটাই চাওয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় আমার নামটি অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি জানান, ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত আমার নামটি অন্তর্ভূক্ত করাতে পারিনি। তাই গণতন্ত্রের মানসকন্যা বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আবেদন আমাকে যেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। জীবনে আর কিছু চাওয়ার নাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ