বিতর্কিত ও অমৎস্যজীবীদের নিয়ে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি, ক্ষোভ অসস্তোষ

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

বিতর্কিত ও অমৎস্যজীবীদের নিয়ে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি, ক্ষোভ অসস্তোষ

সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নব গঠিত এই কমিটিতে অমৎস্যজীবী ব্যক্তি, গরুচোর ও মাদক ব্যবসায়ী সহ বিতর্কিতদের অন্তর্ভূক্ত করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সব সময়ই মূল্যায়ন করে গেছেন। মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষায় তিনি সর্বদা ছিলেন আন্তরিক ও নিবেদিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের রুজি-রুটি ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের অভিযোগ ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক এম.এন. নবি, সদস্য সচিব মৃদুল কান্তি দাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল হোসেন চৌধুরী প্রকৃত মৎস্যজীবী না হওয়া সত্বেও তাদের এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সাথে সাথে গরুচুরি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তি আক্তার হোসেনকে সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক এম. এন. নবী একজন অমৎস্যজীবী। যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল হোসেন চৌধুরীও একজন অমৎস্যজীবী এবং বিতর্কিত ব্যক্তি। পাশাপাশি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নব গঠিত সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে গরু চুরি সহ নানা অভিযোগে রয়েছে একাধিক মামলা। তিনি সম্প্রতি ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফেঞ্চুগঞ্জে বেপরোয়াভাবে মাদকদ্রব্য বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে। মৎস্যজীবীরা এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কমিটি প্রকৃত মৎস্যজীবীদের দিয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ