সিলেট ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
জাকির হোসেন পলাশ ও ইমরান উদ্দিন নামের দুই প্রতারকের খপ্পর থেকে নিজের ১৬ বছরের না বালিকা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন বিয়ানীবাজারের আফিয়া বেগম (৫০) নামের এক অসহায় মা। তিনি তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সোমবার সিলেট সিটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার মেয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন। সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার শ্রিধরা গ্রামের সালমান উদ্দিনের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী আফিয়া বেগম (৫০) তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে তার স্বামী সালমান ৪টি সন্তান রেখে অন্যত্র চলে যায়। আজ পর্যন্ত সে স্ত্রী সন্তানের কোন খোঁজ নেয়নি। সেই সুযোগে আফিয়ার দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই সিলেট নগরীর পূর্বদরগা মহল্লার ৩নং বাসার ভাড়াটিয়া নঈম উদ্দিনের পুত্র ও সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার বড়দেশ (দিঘীটিল্লা) গ্রামের বাসিন্ধা দুই সন্তানের জনক জাকির হোসেন পলাশ (৩৪)। (সিলেট নগরীর রায়নগর তামাবিল রোডে আলী বাবা এক্সক্লোসিভ ডোর এন্ড ফার্নিচারের মালিক) তার বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নানা রকম প্রতিশ্রæতি দিয়ে ২০১৪ সালে নাবালিকা মেয়ে মরিয়ম আক্তার ঝুমিকে (১৪) তার বাসায় নিয়ে যায়। সে থাকে লেখাপাড়া ও লালন পালন করে প্রাপ্ত বয়স্কা হলে বিয়ের সময়ে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেবে প্রতিশ্রæতি দিলে, সরল বিশ্বাসে মেয়ে মরিয়ম আক্তার ঝুমিকে তার আশ্রয়ে দেন। কয়েক দিন যাবার পর তার আরেক মেয়ে পলাশের বাসায় বোনকে দেখতে আসলে জাকির হোসেনের আসল রূপ ধরা পড়ে। সে দেখতে পায় ঝুমিকে জিম্মি করে জোরপূর্বক তার সাথে অনৈতিক কাজ করছে পলাশ। বিষয়টি তিনি অবহিত হয়ে জাকির হোসেন পলাশের কাছ থেকে মেয়ে ঝুমিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেন। বারবার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার মুরব্বি ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জাকির হোসেন পলাশের কাছ থেকে মেয়ে ঝুমিকে উদ্ধারের জন্য একাধিকবার বৈঠকও বসে। জনপ্রতিনিধিদের সামনে পলাশ ঝুমিকে ফিরিয়ে দিতে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা করে। কিন্তু ঝুমিকে ফিরিয়ে না দিয়ে তার আরেক সহযোগী ইমরান উদ্দিন (৩৪) পিতা: জাহাঙ্গির উদ্দিন, বাসা-৯ রোডনং ১০, বøক-সি পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬। বর্তমান ঠিকানা: রহমান ম্যানশন (২য় তলা) ২৩/ এ খুলিয়াটুলা, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, ভিআইপি রোড, থানা-কোতয়ালী, জেলা: সিলেট। সঙ্গবদ্ধ ভাবে ঝুমিকে অজ্ঞাতস্থানে রেখে তার সাথে জোর পূর্বক অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েকে উদ্ধারে জন্য আইনের আশ্রয় নিতে যাতে না পারেন উল্টো ঝুমিকে জিম্মি করে মা আফিয়ার বিরুদ্ধে একটি জিডি করায়। জাকির হোসেন পলাশের আরেক সহযোগী হচ্ছে তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রুমা। তারা যে কোন সময়ে মেয়ে ঝুমিকে হত্যা করে লাশ গুমও করে ফেলতে পারে। মেয়েক উদ্ধারে জন্য ৮ জুলাই সিলেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট ১ম আদালতে একটি সার্চওয়ারেন্ট মামলা করেন তিনি, মামলা নং ১৭২/২০১৯ ইং। ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ জাকিরের বাসায় আভিযান চালালে খবর পেয়ে জাকির ঝুমিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। ৩০ জুলাই ঝুমিকে আদালতে হাজির করে পলাশ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে আফিয়ার স্বামী ও মেয়ে ঝুমির পিতা সাজিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। দীর্ঘ দিন তৈকে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিয়ানীবাজার থানা পুলিশসহ প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও লম্পট জাকিরের কবল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করতে পারিনী আফিয়া। তিনি যাতে জাকির হোসেন ও ইমরান চক্রের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে না পারেন সেই জন্য তারা আফিয়াসহ তার সন্তানদের অপহরণ ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশগুম করে ফেলার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আফিয়া বেগম প্রাণভয়ে ও আর্থিক অনটনে মেয়ে ঝুমিকে উদ্ধারে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেননা। তার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ঝুমিকে উদ্ধার করার জন্য তিনি সরকার ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।
প্রধান উপদেষ্টা : আবুল মাল আব্দুল মুহিত
উপদেষ্টা : ড. এ কে আব্দুল মোমেন (এমপি)
উপদেষ্টা : ড. আহমদ আল কবির
প্রকাশক : আলম খান মুক্তি
প্রধান সম্পাদক : বিলাল খান
সম্পাদক : মোবারক হোসেন পাপ্পু
বার্তা সম্পাদক : সাকারিয়া হোসেন সাকির
অফিস : ১/৬ নবীবা কমপ্লেক্স, আম্বরখানা সিলেট। মোবাইল নং-০১৭১৬-৩৮৭৫৩২
সম্পাদক-০১৭১২-৭৪৫২৬৭
০১৭১০-১৩০৪১১
ইমেইল : alokitosylhet24@gmail.com
Design and developed by web-home-bd