ঢাকা ১১ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
ধর্ষণ মামলায় কারাগারে থাকায় চাকুরি হারালেন ডাক্তার জবাউল ইসলাম
প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট::গোলাপগঞ্জে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারের পর চাকুরি হারালেন ডাক্তার জবাউল ইসলাম (৩১)। তিনি নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের এ্যাসিসটেন্ট রেজিষ্টার পদে কর্মরত ছিলেন। ডাক্তার জবাউল ইসলাম গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার স্বরসতি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ভিকটিম রোজিনা বেগম (৩০) বাদী হয়ে জবাউল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৩জনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ১৭ অক্টোবর রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০৯(সং/০৩) এর ৯(১) তথ্যমতে ৩১৩/৩৪ ধারায় জবাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতে আছেন।
এ বিষয়ে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমডি ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ডা. জবাউল ইসলাম শিশু বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিষ্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ধর্ষণে অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এখবর জানার পরই আমরা তাকে চাকুরিচ্যুত করি। তিনি আর আমাদের নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের কেউ নয়।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত জবাউল ইসলাম তরুণীর তালতো ভাই হওয়ার সুবাদে তারঁ সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জবাউল ইসলাম একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই তরুণী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে জবাউলের পরিবার তার সাথে বিয়ে দিবে এমন আশ্বাস দিয়ে মান সম্মানের কথা বলে তরুণীর গর্বের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে। এর পরবর্তীতেও বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার তরুণীকে জবাউল ইসলাম ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।