সুনামগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও জোন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ!

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

সুনামগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও জোন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ!

ডেস্ক রিপোর্ট :: গ্রামীণ ব্যাংক সুনামগঞ্জ জোনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসাইন ও জোন প্রতিনিধি, সিনিয়ির কেন্দ্র ব্যাবস্থাপক (উচ্চতরমান) আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বদলী বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুনামগঞ্জের গ্রামীণ ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, জোনাল ম্যানাজার জাহাঙ্গীর হোসাইন ও জোন প্রতিনিধি আতিকুর রহমান দুজনের যোগসাজসে ব্যাংকের নিরীহ কর্মীদের নিয়ম বহির্ভুতভাবে বদলী ও বদলী ঠেকানোতে ২০/৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

শুধু তাই নয় তাদের অন্যায় আবদার কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী না রাখলে তাদেরকে পড়তে হয় নানা ধরনের হয়রানীতে। জোন প্রতিনিধি আতিকুর রহমান সুনামগঞ্জের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের তরংগিয়া গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কর্মচারীদের ভিবিন্নভাবে হয়রানী করা ছাড়াও মারধোর করার অভিযোগও রয়েছে আতিকের বিরুদ্ধে।এমনকি করোনা মহামারীতেও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অফিস করানো, কিস্তি আদায় করাসহ নানা ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে জোনাল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসাইন ও জোন প্রতিনিধি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোন প্রতিনিধি আতিকুর রহমান গ্রামীণ ব্যাংক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শাখার সিনিয়র কেন্দ্র ব্যাবস্থাপক (উচ্চতরমান) আল আমিনের কাছ থেকে বদলী ঠেকাতে আতিকুর রহমান ৩৫হাজার টাকা উৎকোচ নেন। কিন্তু বদলী না ঠেকাতে পারায় আল আমিনের বদলী হয় নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায়। বর্তমানে আল আমিন নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে আল আমিন প্রতিবেদককে জানান, এখন আতিকের কাছে টাকা ফেরত চাইলে আতিক গালমন্দ করে। এমনকি আমার মোবাইল নাম্বারটিও ব্লক করে রেখেছে।

দিরাই উপজেলার তাড়ল শাখার সিনিয়র কেন্দ্র ব্যাবস্থাপক (উচ্চতরমান) সাহেদুর রহমান আক্ষেপ করে বলেছেন, ভাই কি বলবো জোনাল ম্যানেজার ও জোন প্রতিনিধি সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে আমাকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা থেকে দিরাইয়ের তাড়লে বদলী করেছে। আতিক আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেছিল তার দাবীকৃত টাকা দিলে আমাকে পাগলা রাখবে না হয় অন্যত্র বদলী করবে। বাসায় আমার অসুস্থ্য মা, দেড় বছরের ছেলে সন্তান, স্ত্রী স্কুলের শিক্ষক এই অবস্থায় আমি দুজনকেই অনেক অনুরোধ করেছিলাম আমাকে বিনা কারনে বদলী না করার জন্য। অনেক অনুনয় বিনয় করেও বলেছিলাম আমি এখান থেকে বদলী হলে আমার অসুস্থ্য মা, ছেলেকে দেখার মতো কেউ থাকবেনা। আমি ভোগান্তীতে পরবো। কিন্তু তারা আমার কোন কথাই শুনেনী উৎকোচের টাকা না দেয়ায়।

এছাড়াও আতিক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর শাখা ব্যাপস্থাপক কাজল কুমার ঘোষের কাছ থেকে জোন বদলীর জন্য ৭০হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলেও গ্রামীন ব্যাংকের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,এই দুর্নীতিবাজ দুজনের কারনে সুনামগঞ্জে গ্রামীন ব্যাংকের অনেক বদনাম হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে সুনামগঞ্জ গ্রামীন ব্যাংকের সুনাম অক্ষুণ্য রাখার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গ্রামীণ ব্যাংক সুনামগঞ্জ যোনের জোন প্রতিনিধি আতিকুর রহমানের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন ০১৭১৮-৯৭৮৯৮৩ ও জোনাল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসাইনের মোবাইল ফোন ০১৭১৩-৮১২৫৫৫ নাম্বার দুটিতে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেন নী।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ