কর্নেল তাহেরের নামে সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হউক

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২০

কর্নেল তাহেরের নামে সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হউক

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার এক বিবৃতিতে শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তমের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর পরিবার-পরিজন-সহযোদ্ধা-সুহৃদ ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন আবু তাহের। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের কিশোরকর্মী আবু তাহের যৌবনে যোগ দেন সশস্ত্রবাহিনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সামরিক ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে; তাঁর এ পরিকল্পনা সফল হয়; মুক্তিযুদ্ধে তিনি ১১ নম্বর সেক্টরকে নেতৃত্ব দেন। দুঃখজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ঢাকা দখলের মরীয়া যুদ্ধে নিজের জন্মদিনে কামালপুর সমুখসমরে মাইনের আঘাতে তাঁর ডান পা দেহবিচ্ছিন্ন হয়; কিন্তু তাঁর যুদ্ধপরিকল্পনা ও যুদ্ধকৌশলে ১১ নম্বর সেক্টর ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হানাদার মুক্ত হয় এবং ১৪ ডিসেম্বর ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধাগণ মিত্রবাহিনীর সাথে প্রথম ঢাকায় প্রবেশ করেন এবং কর্নেল তাহেরের বড় ভাই আবু ইউসুফ খান বিজয়ের প্রতীক হিসেবে জেনারেল নিয়াজীর স্টাফ কারের পতাকাটি তুলে নেন। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে তিনি জাসদে যোগদান করেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মনোনীত হন; পরে বিপ্লবী গণবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পান। হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির অবসানে তাঁর নেতৃত্ব, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার উদ্যোগে, বিপ্লবী গণবাহিনীর সহায়তায় ও জাসদের সমর্থনে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক মহান সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। পাকিস্তানপন্থার প্রতিভূ জিয়া সে অভ্যুত্থান বানচাল করে দেন এবং পরে গোপন বিচার প্রহসনের মাধ্যমে কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তমকে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন ও জাসদ নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদী কারাদণ্ড দেন।
কর্নেল তাহেরের আত্মদানের ৩৫ বছর পর তাঁর পরিবার ও জাসদ নেতৃবৃন্দের বেশ কয়েকটি রিট আবেদনের রায়ে ২০১১ সালের ১১ মার্চ মহামান্য আদালত— [১] কর্নেল তাহেরের বিচারকে অবৈধ, [২] গোপন সামরিক আদালতের সে বিচারকে লোক দেখানো প্রহসন, [৩] তাহেরের ফাঁসিকে ঠান্ডা মাথার পরিকল্পিত হত্যা, [৪] জিয়াকে তাহের হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী, [৫] জিয়াকে ঠান্ডা মাথার খুনী, [৬] কর্নেল তাহেরকে মহান দেশপ্রেমিক, [৭] তাহেরের সহঅভিযুক্তগণ মহান দেশপ্রেমিক ও [৮] কর্নেল তাহেরকে একজন শহীদ ঘোষণা করার পাশাপাশি, [৯] সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের, [১০] কর্নেল তাহেরের নামে ঢাকায় একটি সরকারি স্থাপনা বা সড়কের নামকরন করার, ও [১১] সর্বোপরি তাহের হত্যা প্রক্রিয়ায় জড়িত জীবিত দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেন কর্নেল আবু তাহেরের ৮২তম জন্মদিনে আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য, বিশেষত কর্নেল তাহেরের নামে ঢাকায় একটি সরকারি স্থাপনা বা সড়কের নামকরন করার জন্য, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ