বানিয়াচংয়ে নানা আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

বানিয়াচংয়ে নানা আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

আলোকিত সিলেট ডেস্ক ::: “বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমাবায়ে উন্নয়ন”-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বানিয়াচংয়ে ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগরে আয়োজনে শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারি সমবায় পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মজিদ খান বলেন-বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মূলমন্ত্র সমবায় ভিত্তিক সমাজ গঠন। বঙ্গবন্ধু এই সত্যটি উপলব্ধি করে দেশ স্বাধীনের পরপরই প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ড সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তার ই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দশ উদ্যোগে গ্রামাঞ্চলে দরিদ্রের হার কমাতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। এরই ফলে শহর আর গ্রামের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার ও জেলা পরিষদ সদস্য নাজমুল হক।

এমপি মজিদ খান আরো বলেন, দেশকে আরো উন্নয়নের সড়কে এগিয়ে নিতে সমবায়কে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সমবায়কে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কৃষিভিত্তিক সমবায় খামার গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এর কার্যক্রমও শুরু করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণে সে কর্মসূচীর আর বেশি দুর এগুতে পারেনি। তার চিন্তা ছিল দেশের সব মানুষের উন্নয়ন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ। সমবায়ীরা হচ্ছেন দেশ গড়া সৈনিক। সমবায়ের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে উঠে। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা সমবায় অফিসার দেবাশীষ দেব। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে বাজনা সহকারে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বড়বাজারের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা,কর্মচারী,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সমবায়ের সদস্যসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে উপজেলার শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের হাতে পুরষ্কার তোলে দেন প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ