রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে রেক্স প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে রেক্স প্রশিক্ষণ কর্মশালা

 আলোকিত সিলেট ডেস্ক ::: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, সিলেট কার্যালয়ের উদ্যোগে ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন এক্সপোর্টার্স সিস্টেম (রেক্স) শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা ও সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ এইচ এম এরশাদুর রহমান বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে রপ্তানিকারকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজন, বিদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন প্রকার সনদ ইস্যু, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন ইত্যাদি অন্যতম।

তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন এক্সপোর্টার্স সিস্টেম (রেক্স)’ রপ্তানিকারকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ই.ইউ. রুলস অব অরিজিন অনুযায়ী ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কে রপ্তানির ক্ষেত্রে রেক্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে রপ্তানিকারকদেরকে সম্যক ধারণা দিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে পণ্যের মধ্যে বৈচিত্র্যতা আনয়ন একান্ত জরুরী। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য দীর্ঘদিন যাবত গুটিকয়েক পণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই গণ্ডি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। পণ্যকে বহুমুখীকরণের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে।

তিনি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজনের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রপ্তানি খাতের প্রসারে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ২০৩০ সালে মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে রপ্তানি খাতের প্রসারে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা সর্বদা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা ও সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ।

কর্মশালার বিষয়বস্তু ‘রেজিস্ট্রেশন এক্সপোর্টার্স সিস্টেম (রেক্স)’ এর উপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ঢাকা এর উপ-পরিচালক কুমকুম সুলতানা ও সহকারী পরিচালক আব্দুল হালিম।

তারা জানান, রেক্স ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে জিএসপি সনদপত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ, রপ্তানিকারককে তার নিজের স্টেটমেন্ট অন অরিজিন ইস্যুর সুযোগ প্রদান, সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শুল্ক সুবিধা প্রদান ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি করা। রেক্স সুবিধার ফলে রপ্তানিকারক যেকোনো সময় তার রপ্তানিকৃত পণ্যের স্টেটমেন্ট অন অরিজিন ইস্যু করতে পারবেন। যার ফলে রপ্তানিকারকের ডকুমেন্টেশন খরচ হ্রাস পাবে এবং সময় বাঁচবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রেক্স রেজিস্ট্রেশন নম্বর গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আলোচকগণ জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে তৃতীয় ধাপে রেক্স রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। উল্লেখিত দেশসমূহে রপ্তানির লক্ষ্যে রপ্তানিকারকদের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সময়সীমা বর্ধিত করলে তা জুন-২০২০ পর্যন্ত হতে পারে বলে আলোচকগণ জানান।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মো. এমদাদ হোসেন, মো. সাহিদুর রহমান, মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আমিনুজ্জামান জোয়াহির, জালালাবাদ ভেজিটেবল এন্ড ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ, সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের প্রতিনিধি পাপলু দাস ও রপ্তানিকারকবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ